kishor
উজানের ঢলে কিশোরগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জেলার ১১ উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেছেন, ২২ জুন  বুধবার জেলার প্রধান নদী ধনুর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ও কালনীর ১৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলার মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ১০ উপজেলা। তার মধ্যে বেশি প্লাবিত হয়েছে- ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলী। তবে আংশিক প্লাবিত হয়েছে- বাজিতপুর, তাড়াইল, করিমগঞ্জ, ভৈরব, কুলিয়ারচর ও কটিয়াদী। এখন পর্যন্ত প্লাবিত হয়নি পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর।
জানা গেছে, জেলার ২৫৪ আশ্রয়কেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রায় ১২ হাজার বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বানের পানিতে ভেসে গেছে ৭৩০টি পুকুর। যার ফলে মৎস্য খামারিদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকার মতো। ইতোমধ্যে জেলার ১৯১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ করা হয়েছে। এসব স্কুলের ৫১টিকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ১৫ গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।