buddu
সারাদেশ: প্রতিদিনের মতো আজও ট্রলার নিয়ে সহযোগীদের সাথে খুব ভোরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন বুদ্দু হালদার। তবে আজ তার কপাল ভালো ছিল। মানিকগঞ্জের শিবালয় এলাকার জেলে মো. বুদ্দু হালদারের জালে ধরা পড়ে দুইটি বিশাল আকারের পাঙাশ মাছ। সকালে মাছ দুটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া কেসমত মোল্লার আড়তে নিয়ে আসেন তিনি। পরে নিলামে মাছ দুটি বিক্রি হয়। বুদ্দু হালদারের জালে ধরা পড়া মাছ দুটির মধ্যে একটির ওজন ২৮ কেজি এবং অপরটির ওজন ১৯ কেজি।
বুধবার (২০ জুলাই) সকালে মাছ দুটি ৬২ হাজার টাকায় উন্মুক্ত নিলামে কিনে নেন দৌলতদিয়া ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।
জেলে বুদ্দু হালদার জানান, প্রতিদিনের মতো মাছ ধরতে বের হয়েছিলাম। দৌলতদিয়া বাহিরচর এলাকার নদীতে জাল ফেলে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করে ভোর ছয়টার দিকে জাল তুলতেই বড় আকারের দুটি পাঙাশ মাছ দেখতে পান। পরে মাছ দুটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া কেসমত মোল্লার আড়তে নিয়ে যান। সেখানে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা ৬২ হাজার টাকায় মাছ দুটি কিনে নেন।
মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা জানান, সকাল ৮টার দিকে নিলামের মাধ্যমে দৌলতদিয়ার কেসমত মোল্লার মাছের আড়ত থেকে ৬২ হাজার টাকায় মাছ দুটি কিনে নেন। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সামান্য লাভে মাছ দুটি বিক্রি করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরিফ বলেন, নদীতে পানি বাড়তে শুরু করলেই বড় বড় মাছ পাওয়া যায়। মানিকগঞ্জের শিবালয় এলাকার জেলে বুদ্দু হালদার বড় দুটি পাঙাশ পেয়ে ৬২ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। পদ্মার মাছ সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা অনেক। সরকারের বিভিন্ন সময়ে নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় নদীতে এখন বড় বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে মা মাছ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।