Netrokuna
‘ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার ১০ উপজেলার ৬৩ ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয় পানিবন্দি লাখো মানুষ। প্রায় লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। এ অবস্থায় ২০ জুন সোমবার রাত পর্যন্ত দুই লক্ষাধিক মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ চরমে। এখনও পানিবন্দি রয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৩৩০ জন। বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩২৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

BD Sena Bahini

২১ জুন মঙ্গলবার থেকে জেলার চার উপজেলায় বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করবে সেনাবাহিনী। উপজেলাগুলো হলো কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জ।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী খালিয়াজুরী উপজেলার বন্যাকবলিত বিভিন্ন স্থান ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনা খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করেন।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। আশ্রয়কেন্দ্রে আছে লক্ষাধিক। বন্যাদুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ১৩ লাখ টাকা, ৩৩৩ মেট্রিক টন চাল ও চার হাজার ৯৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ পেয়েছি। এর মধ্যে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ১৩১ মেট্রিক টন চাল, তিন লাখ পাঁচ হাজার টাকা ও দুই হাজার ৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত আছে।
সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী বলেন, চার উপজেলায় বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করবে সেনাবাহিনী।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।