images 17 3
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রনি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে রেলের টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে ভোক্তার প্রতি অনলাইন প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে নগদ ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সংস্থার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় শুনানি।
রনির উপস্থিতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে টিকেট কাটায় প্রতারণার বিষয়ে প্রমাণ তুলে ধরে বাদীপক্ষ আইনজীবী। বিপরীতে আইনজীবীর মাধ্যমে নথিপত্র উপস্থাপন করে বিবাদী সহজ ডটকম। তবে ভোক্তার প্রতি প্রতিষ্ঠানটির অবহেলার প্রমাণ পান সংশ্লিষ্টরা।
ভোক্তা অধিকার আইনের ৯ ধারা মোতাবেক ভোক্তার প্রতি সহজের অবহেলা প্রমানিত হয়। সহজের এই অবহেলা প্রমাণিত হওয়ায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্ম দিবসের মাধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
আইন অনুযায়ী জরিমানার ২৫ ভাগ পাবেন অভিযোগকারী রনি। এই জরিমানার আদেশে ভোক্তার অধিকার রক্ষা হয়েছে বলে মনে করছেন অভিযোগকারী রনি। তবে এর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন সহজ ডটকমের আইনজীবী মির্জা রাগিব হাসনাত।
টিকেট কিনতে গিয়ে অবহেলার এ অভিযোগটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। বাড়ি যেতে অনলাইনে টিকেট কাটতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হন তিনি। তাই টিকেট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই থেকে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিতে হাতে শিকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। গতকাল মঙ্গলবার রেল ভবনে রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন রনি।
রনির দেয়া ছয় দফা দাবি সমূহ:
রনির ছয় দফা দাবি সমূহ —
১. টিকেট ব্যবস্থাপনায় সহজ ডটকমের হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে।
৩. অনলাইনে কোটায় টিকেট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে অনলাইন-অফলাইনে টিকেট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
৫. ট্রেনের টিকেট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেল সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
৬. ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনা মূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।