ম্যাচ হেরে নিদারুণ কান্নায় সেরা খেলোয়াড় রাহুল, হতে চান জাতীয় দলের অধিনায়ক - Positive Think

বাফুফে জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২২ এর ফাইনাল ম্যাচে নীলফামারীর ছমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের কাছে ১- ০ গোলে হেরে কান্নায় ভেঙে পরেন যশোরের বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং দলের অধিনায়ক সাইদুর রহমান রাহুল।

পুরো টুর্নামেন্ট মাতিয়ে দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ ও কষ্ট থেকে কান্নায় ভেঙে পরেন এই কিশোর। পরে দলের কর্মকর্তা এসে বৃথা সান্ত্বনা দিয়ে কান্না থামান।

এই কান্না ভালো খেলেও হারার। পুরো ম্যাচ যেমন পায়ে বল রেখে মাতিয়েছেন, টুর্নামেন্টজুড়েও বীরত্বে দেখা যায় রাহুলকে। ভালো খেলে তাইতো বাফুফে জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২২ এর সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কারটি তার দখলে।

পুরস্কার পাওয়ার পর আলাদাভাবে এই সেরা খেলোয়াড়ের সাথে কথা বলে মোশারফ হোসাইন। আলাপচারিতায় সাইদুর রহমান রাহুল জানান তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা। সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পিছনে যাদের অবদান আছে কৃতজ্ঞতা জানান তাদেরও।

মোশারফ হোসাইন : ম্যাচ হেরেও সেরা ফুটবলার হলেন অনুভূতিটা কেমন?

সাইদুর রহমান রাহুল : ম্যাচ হেরেও আমি সেরা, আমার দল সেরা, হারার দিক থেকে তো আমরা সেরা। এর থেকে ভালো পরাজয় আর হতে পারে না। প্রতিটি ম্যাচ আমি ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলেছি, আমার খেলা ভালো হয়েছে বলে বাফুফে আমাকে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করেছে, আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

মোশারফ হোসাইন : এখন আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

সাইদুর রহমান রাহুল : যেহেতু ফুটবলের সাথে জড়িয়ে গেছি। এতদূর পর্যন্ত আসতে পেরেছি। নিজেকে জাতীয় দলে দেখতে চাই, অধিনায়কত্ব করতে চাই জাতীয় দলে।  এবং ফুটবল লীগে সাবেক ফুটবলার সালাম মুর্শেদীর যেই রেকর্ড আছে গোলে, সেটি ভাঙতে চাই।

মোশারফ হোসাইন : পরিবার আপনার ফুটবল খেলাকে কীভাবে দেখে তারা কী চায় আপনি ফুটবলার হোন?

সাইদুর রহমান রাহুল : প্রথম দিকে আমার পরিবার ফুটবল খেলাকে সাপোর্ট দিতো না, পরে যখন দেখেছে আমি ভালো খেলি। বিভিন্ন জায়গাতে যাই। মানুষ আমাকে চিনে। তখন থেকে পরিবার আমার খেলাকে মেনে নিয়েছে।

মোশারফ হোসাইন : এতদূর আসার পিছনে কাদের অবদান আছে, কাউকে কি কৃতজ্ঞতা জানাতে চান?

সাইদুর রহমান রাহুল : প্রথমে আমি আমাদের মেয়র সাহেব আশরাফুল আলম লিটনকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, তিনি তার বাবার নামে একটি একাডেমি করেছেন সেখান থেকে আমার উঠে আসা। এবং সাবেক ফুটবলার আমার কোচ সাব্বির রহমান পলাশ স্যার আমাকে স্বপ্ন দেখান, ফুটবলার হতে উৎসাহিত করেন এ থেকেই আমি এখন ফুটবলে।