firozz
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করেন ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব ব্যবহার করেন তারা ফিরোজ হাসানকে চিনেন না এমন মানুষ হয়ত কমই আছে। মানবিক সহায়তার পাশাপাশি ‘ফ্রি মোশন’ নামে ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউবে মানবিক ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে স্যোসাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে এখন এই তরুণ। বাইকে হাত রেখে ছুটে চলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। হেলমটে রাখেন ক্যামেরা সেই ক্যামেরায় বন্দি করেন মানবিক গল্প। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোশারফ হোসাইন 
দুরন্ত পথে ছুটে চলা ফিরোজ হাসান জানান, এই কাজের জন্য তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিলো না, ভ্রমণের সুবাদে এবং মানবিক চেতনা থেকেই শুরু। আর অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা আগেও কিছুটা ছিলো, তবে তা ভিডিও আকারে প্রকাশের শুরুটা ছিলো ২০২০ এর ফেব্রুয়ারি থেকে। ভ্রমণ আমার পছন্দ আর চলার পথে অসহায়, গরীব ও যাদের সাহায্যের প্রয়োজন, তাদের সবটা তো আর মিটানো সম্ভব নয়, তাই আমার সামর্থ্য অনুযায়ী যতোটা সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। আর এদের জন্য কিছু করতে পারলে মনে অন্যরকম এক প্রশান্তি লাগে। কাজটি যখন শুরু করি তখন পরিবার এবং আশেপাশে যারা আছে সবাই বিষয়টি ভালো ভাবেই নিয়েছে, এবং আরো বেশি সহযোগিতা করার জন্যে আমাকে উৎসাহিত করেছে। আমার ভিডিও তৈরির প্রধান উদ্দেশ্যই হলো মানবিক কাজে মানুষকে উৎসাহিত করা।
ফিরোজ হাসান চাদঁপুর থেকে এসএসসি ও এইচএসসি শেষ করে ঢাকায় আসেন, পরে ঢাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেন। তিনি আরও বলেন, যখন কোনো অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করি তাদের মুখের হাসি আমাকে অন্যরকম এক প্রশান্তি দেয়। যেটার কোনো বিনিময় নেই। আমি যেহেতু সবেমাত্র পড়াশোনা শেষ করেছি যতটুকু পারি সামর্থ অনুযায়ী মানুষকে সহযোগিতা করি। ভিডিওর মাধ্যমে মানুষকে উৎসাহিত করি।
কাজ করতে গিয়ে কখনো কী বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়েছে? জানতে চাইলে ফিরোজ বলেন, বিব্রতকর পরিস্থিতি যদি বলি তাহলে বলতে হয় কিছু অসাধু ব্যাক্তি আমার নাম এবং আমার পেইজের নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ডোনেশন নিচ্ছে। আবার অনেকেই আছে ফেইক আইডি করে নিজেকে ফিরোজ হাসান পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করছে, যেটি খুবই দুঃখজনক। এখন পর্যন্ত এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি বিব্রতকর অবস্থা। তবে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া মানুষের পাশে দাড়াঁনোর মতো কাজ করে যেতে পারছি। আমার বাবা-মাকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাকে ছোটবেলা থেকে এমন সুশিক্ষা ও আদর্শ দিয়ে বড় করেছেন বলেই আমি মানবিক কাজ করতে পারছি। যারা আমাকে সমর্থন করে তাদের বলতে চাই, সবার অবস্থান থেকে এভাবে মানুষের পাশে থাকলে একদিন সমাজ থেকে দারিদ্রতা এবং অসহায়ত্ব দূর হবে ইনশাআল্লাহ।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।