As sunnah F
সিলেট ও সুনামগঞ্জের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। থাকার জায়গা নেই, খাবার নেই। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন বানভাসিরা। নৌকায় করে আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন অনেকেই। অসুস্থ-বৃদ্ধ মানুষদের তুলে আনা হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটও বন্যার্তদের উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তায় কাজ করছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে  ও বন্যায় আটকে পরা মানুষদের উদ্ধার করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বন্যার্তদের জন্য কয়েক টন খাবারের ব্যবস্থা করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর কাছে বানভাসি মানুষের জন্য কয়েক টন খাবার তুলে দিয়েছে সংগঠনটি। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এর  প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এখন পর্যন্ত  ১ টন শিশুখাদ্য (গুড়ো দুধ), ২০টন খেজুর, ১০ টন চিড়া, আড়াই টন চিনি ও ১০ হাজার পিস মোমবাতি প্যাকেট করা হয়েছে। সেই সাথে আছে ৪ হাজার বোতল মিনারেল ওয়াটার (৫ লিটার প্রতিটি)। এদিকে গাইবান্ধার মণ্ডল ফ্লাওয়ার মিলে (চাল ভাজা, ভুট্টা, গম ভাজা ও ছোলার সংমিশ্রণে) তৈরি হচ্ছে ৫টন ছাতু। আর ইতোমধ্যে আমাদের ১০ টন খেজুর, ১০ টন চিড়া এবং ১০ হাজার লিটার মিনারেল ওয়াটার ও মেডিকেল ক্যাম্পের জন্য বিভিন্ন পদের ১৮ হাজার পিস ঔষধ সিলেটে পৌঁছে গিয়েছে। চিড়া ও খেজুর ২ কেজি করে প্যাকেট করা হয়েছে। এগুলো সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দুর্গম এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : নেত্রকোনায় পানিবন্দি লাখো মানুষ, দুর্ভোগ লাঘবে সেনাবাহিনী!
তিনি আরও বলেন, সামনের দিনগুলো থেকে আরো বড় পরিসরে চাল, ডাল, আলু, তেল ইত্যাদির প্যাকেজ করা হবে ইন-শা-আল্লাহ। সেই সাথে গরুর খাদ্য হিসেবে এক ট্রাক ভূসি অর্ডার করা হয়েছে। এগুলো সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আমরা নিজেরাও বিতরণ করবো ইন-শা-আল্লাহ।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।