images 15 4
বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বৃদ্ধিতে কারখানায় গ্যাস উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোডশেডিংয়ে ভুগছেন সারাদেশের মানুষ।
সরকারের কর্মকর্তারা জানান, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনছে না সরকার। ফলে গ্যাস সরবরাহ গত কয়েক দিনে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। ফলে কমাতে হয়েছে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। একইভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রও পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
গ্যাসের স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের উচ্চমুল্য এবং সরবরাহ সব দেশকেই সমস্যায় ফেলেছে। বিষয়টি আমাদেরকেও বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
বাংলাদেশ তেল–গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৭০ কোটি ঘনফুট। সাধারণত গড়ে ৩০০ কোটি ঘনফুটের মতো সরবরাহ করা হয়। দুই দিন ধরে দিনে ২৭৫ থেকে ২৮০ কোটি ঘনফুট করে সরবরাহ করা হচ্ছে। কিছুদিন ধরেই ধাপে ধাপে কমানো হচ্ছিল সরবরাহ। এলএনজি কেনা না হলে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই আপাতত। বিশ্ববাজারে প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম ৪০ ডলার ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ কেনা হয়েছিল ২৫ ডলারের।
এদিকে চাহিদা মতো বিদ্যুৎ না না পাওয়ায় ঠিকমতো বিতরণ করতে পারছে না বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ কোম্পানিগুলো। দিনে অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ কমে যাচ্ছে। ফলে সারা দেশে লোডশেডিং বাড়ানো হয়েছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দিনে চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হচ্ছে। কোথাও কয়েক ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।