shatol

ক্যাম্পাস: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একমাত্র শিক্ষাঙ্গন যেখানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ট্রেন সুবিধা রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের এই প্রধান বাহন শাটল ট্রেনের বগিসমূহ শিল্পকর্ম অঙ্কনের মাধ্যমে ফের রঙিন হচ্ছে।

জার্মানির আরইউএসবি আর্ট গ্রুপের প্রধান শিল্পী লুকাস জিলিঞ্জার নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন শিল্পকর্মে রঙিন করছেন শাটল ট্রেন। তাঁকে এই কাজে সহযোগিতা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

গত শুক্রবার থেকে জার্মান এই শিল্পী শাটল ট্রেনে শিল্পকর্মের কাজ শুরু করেন। শিল্পকর্মে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, সংসদ ভবন, সিআরবি, সূর্যাস্তের দৃশ্য, সমুদ্রসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য স্থান পায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান, ‘গত ২৮ মার্চ জার্মান শিল্পী লুকাস জিলিঞ্জার আমাদের উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শাটল ট্রেনের বগিগুলো নান্দনিক শিল্পকর্মের মাধ্যমে সাজানোর প্রস্তাব দেন। আমাদের শাটল ট্রেনে আগে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম ছিল। আমাদেরও শাটল ট্রেন সাজানোর পরিকল্পনা ছিল। আমরা তাঁর প্রস্তাবটি বিবেচনা করে তাঁকে শিল্পকর্মের অনুমতি দেই।’

বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবুল কালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে রঙিন করা হচ্ছে। জার্মান এক শিল্পী শিল্পকর্ম করছেন। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও আছেন। আমরা শিল্পকর্মে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, সংসদ ভবন, সিআরবি, সূর্যাস্তের দৃশ্য, সমুদ্রসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য দিতে বলেছি। পাশাপাশি তাঁদের পছন্দেরও কিছু থাকবে।’

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।