suma 10 1
সুনামগঞ্জে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া পাঁচ হাজার পরিবারের জন্য অনুদান হিসেবে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার ১০ হাজার টাকা করেন পাবে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১১টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৮৮টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭টি। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৪০ হাজার ৫৪১টি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ তৎপরতা-সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করেছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তবে বন্যা পুরোপুরি কমে গেলে চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় জেলায় ২৫ হাজার ২০৪টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বন্যায় ১ হাজার ৬৪২টি গবাদিপশু মারা গেছে। এর মধ্যে গরু ৪২২টি, মহিষ ৩৭টি, ছাগল ৬৬৯টি ও ভেড়া ৫১৪টি। এ ছাড়া বন্যায় ২৮ হাজার ৮০৫টি মুরগি ও ৯৭ হাজার ৮৩১টি হাঁস মারা গেছে। বন্যায় জেলায় এ পর্যন্ত ৩৮৪ কিলোমিটার সড়ক, ১৫৫টি সেতু-কালভার্টের সংযোগ সড়ক এবং ৪টি সেতু-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো বিভিন্ন স্থানে পানি আছে। তাই বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার পর চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।  এলজিইডি ও সওজের দাবি অনুযায়ী, মোট ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার সড়ক, সেতু, কালভার্ট ও অ্যাপ্রোচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুনামগঞ্জে এবারের ভয়াবহ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মানুষের ঘরবাড়ি ও সড়কের। এর আগে কোনো বন্যায় এত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়নি। এত সড়ক নষ্ট হয়নি। বন্যার পানি কমলেও বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় এখনো বিপুলসংখ্যক মানুষ নিজের ভিটায় ফিরতে পারছে না। ঘরবাড়ি হারানো এতসংখ্যক মানুষ কীভাবে বাড়িতে উঠবে, সেটাই এখন উদ্বেগের বিষয়।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই অর্থসহায়তা দেওয়া হবে, যাতে তারা নগদ অর্থ দিয়ে বাড়িঘর মেরামত ও পুনর্বাসিত হতে পারেন।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।