FB IMG 1657960545853

আগামীতে আরো ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে জনজীবন

>> হুমায়ুন কবির

সামনের বছরগুলোয় এর চাইতেও তীব্র দাবদাহের জন্য তৈরি হতে হবে আমাদের। দিন দিন পৃথিবীটা উষ্ণতম হয়ে উঠছে। গ্রিনহাউজ ইফেক্ট সম্বন্ধে যাদের সামান্যতম ধারণাও আছে, তাদের বুঝতে বাকি থাকার কথা নয়! প্রতিদিন সূর্য থেকে রাশি রাশি তাপ ও ক্ষতিকর রশ্মি এসে আটকা পড়ছে পৃথিবীতে।

গাছ কেটে উজাড় করছে মানুষ। দিন দিন হাজার হাজার গাড়ি, মেশিন উৎপাদিত হয়ে পথে নামছে। যে পরিমাণ গাড়ি উৎপাদিত হচ্ছে, তার দশ ভাগের এক ভাগ গাড়িও নষ্ট হচ্ছে না, তুলে নেয়া হচ্ছে না। গাড়ি, কলকারখানা বৃদ্ধির হার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চাইতেও বহুগুণ বেশি এবং টেকসই।

পোকার মত মানুষ বাড়ছে। এই বর্ধিত জনতার জন্য দরকার খাদ্য, বড় বড় বিল্ডিং। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য হিসেবে, দৈনন্দিন প্রয়োজনে উদ্ভিদ ব্যবহৃত হচ্ছে। যে অনুপাতে প্রাণী বাড়ছে, ঠিক সেই অনুপাতে বা তার দ্বিগুণ অনুপাতে উদ্ভিদ কমছে।

প্রকৃতির রুদ্রমূর্তি থেকে রেহাই পেতে মানুষ নানান ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ফলে এতে সাময়িক উপকার পেলেও দীর্ঘমেয়াদে বারোটা বেজে যাচ্ছে প্রকৃতির। একটা এসি মাত্র এক ঘন্টায় যে পরিমাণ CFC নির্গত করে, তার প্রভাব ১০ দিন বা তারও বেশি সময় জুড়ে থাকে প্রকৃতিতে। অথচ শহর জুড়ে লাখ লাখ এসি ২৪ ঘন্টা চলছে। শুনলাম এখন নাকি ১০-১৫ হাজার টাকায়ও এসি পাওয়া যায়।

বন উজাড় করে উন্নয়ন হচ্ছে। পাহাড় কেটে উন্নয়ন হচ্ছে। আমাজনে প্রতিবছর আগুন ধরছে।

বর্ধিত তাপে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ছে। ফলে সেন্টমার্টিন সহ উপকূলীয় এলাকাগুলো একটু একটু করে পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।
মালদ্বীপ অলরেডি কানাডায় জায়গা কিনেছে। ডুবে যাওয়ার আগে পুরো দেশসমেত স্থানান্তরিত হবে।

সবমিলিয়ে পৃথিবীটা প্রতিদিন একটু একটু করে উত্তপ্ত নরক হয়ে উঠছে। আগামীতে এর চাইতেও উত্তপ্ত আবহাওয়ায় বেঁচে থাকবার জিন্য নিজের শরীরকে প্রস্তুত করুন। এমন একসময় আসবে, তখন হয়ত এসিও কাজে আসবে না কোন। আর এসি কেনার বা তার বিদ্যুৎ বিল দেবারই বা সামর্থ আছে কয়জনের!

 

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।