একসময় প্রচন্ড গরমের মধ্যে হজ পালন করতে মক্কায় আগতদের অনেক কষ্ট পেতে হতো। উত্তপ্ত রোদের মধ্যে হজের মৌলিক বিধানগুলো পালন করতে গিয়ে অনেক হাজিরা অসুস্থ হয়ে পড়তো। কিন্তু গত কয়েক বছরে অনো পরিবর্তন হয়েছে, বিশেষভাবে নির্মিত করা হয়েছে মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির চত্বর। ফলে সব সময় শীতল থাকবে এখানকার হারামাইন চত্বরের মেঝে। উত্তপ্ত রোদেও মেঝে তেতে ওঠবে না। কারণ, এমন মার্বেল দিয়ে এই দুই চত্বর আচ্ছাদিত করে দেওয়া হয়েছে, যার বিশেষ তাপ-শোষণ ক্ষমতা রয়েছে।
বিশেষ ধরনের এই মার্বেল খুঁজে পাওয়া সৌদির জন্য অনেক কষ্টসাধ্য ছিল, অনেক খোঁজাখুজির পর এই মার্বেল শুধু গ্রিসের ছোট্ট এক পাহাড়ে পাওয়া যায়। সেখান থেকে বিশাল অংকের মুদ্রা ব্যয় করে সংগ্রহ করে সৌদি কতৃপক্ষ।
এই বিশেষ ধরনের পাথর দ্বারা হারামাইন শরিফের চত্বর ও আশেপাশে সাজাতে নিজ কাঁধে দায়িত্ব তোলে নেন মিশরীয় প্রকৌশলী ও স্থপতি ড. মোহাম্মদ কামাল ইসমাইল। এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটা সময় তত্ত্বাবধান করেন মিশরীয় এই প্রকৌশলী; তার বিনিময় তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেননি। তার সততা ও কাজের প্রতি আন্তরিকতা তাকে বাদশাহ ফাহাদ ও বাদশাহ আব্দুল্লাহসহ সকলের প্রিয় করে তোলে।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।