FB IMG 16580983550707999
গেল কয়েকমাসে নানান নাটকীয়তার মাধ্যমে ক্ষমতার রদবদল হয় পাকিস্তানের। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ফলে প্রধানমন্ত্রী হতে সরে যেতে হয় বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানকে। এবার যেন সে নাটকীয়তা ভিন্ন রুপ নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের প্রাদেশিক এসেম্বলিতে ইমরান খানের দলের ২০ জন পক্ষ ত্যাগ করে মুসলিম লীগে যোগদান করে৷ এর ফলে ইমরান খান, দেশটির হাইকোর্ট এ আবেদন করেন ওই ২০ আসনকে খালি ঘোষণা করে উক্ত আসন সমূহে নতুন করে নির্বাচন দিতে। পাকিস্তান সংবিধান অনুসারে, কোন সাংসদ সদস্য যদি দলত্যাগ করে তবে উক্ত আসন শূন্য আসন বলে বিবেচিত হবে। সেই হিসাবে ওই ২০ আসনে নতুন নির্বাচন এর জন্য হাইকোর্ট রায় দেয় গতমাসে।
গত ১৭ জুলাই সে রায় অনুসারে ২০ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ইমরান খান ২০টির মধ্যে ১৭ টিতে জয় লাভ করেন৷ এর ফলে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে ইমরান খানের আসন সংখ্যা দাড়াল ৮৭, সরকার গঠনের জন্য দরকার ছিল ৮৫ আসন৷ ফলে পাঞ্জাবে মুসলিম লীগের সরকারের পতন হচ্ছে ও ইমরান খান সরকার গঠন করতে যাচ্ছে৷
ফলে পাকিস্তানের বৃহৎ দুইটি প্রদেশ পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাতে ইমরান খানের দখল ফিরে আসল৷ এছাড়া গিলগিট বাল্টিস্থানে ও ইমরান খানের দল ক্ষমতায় আছে৷ ফলশ্রুতিতে কেন্দ্রে থাকা মুসলিম লীগের সরকার এর ভিত্তি দূর্বল হয়ে পড়ল বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
পাকিস্তান একটা ফেডারেল স্টেট এবং ১৯৫৬ এর সংবিধান অনুসারে পাকিস্তানের প্রত্যেক প্রদেশ স্বায়ত্তশাসিত৷ প্রত্যেক প্রদেশের আলাদা পুলিশ বাহিনী আছে যারা প্রাদেশিক সরকার অধীনস্থ। আলাদা আইন আছে যেমন পাঞ্জাবে মেয়েদের বিয়ের সর্ব নিম্ন বয়স ১৬, সিন্ধুতে ১৮।
৪ প্রদেশের মধ্যে বৃহৎ দুইটি যখন ইমরান খানের দখলে তখন শাহবাজ শরিফের পক্ষে কেন্দ্রে একটা ফাংশনাল গভর্মেন্ট চালানো কঠিন হয়ে পড়বে৷ হয়ত শাহবাজ শরিফ পদত্যাগ করে কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে নতুন ইলেকশনের ঘোষণা দিবে৷ আর এমনটি চায় ইমরান খান৷ আজকের নির্বাচন বুঝিয়ে দিয়েছে ইমরান খান জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছেন।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।