সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ পরিচিত মুখ ফাতেমা নাজনীন প্রিসিলা, যাকে সবাই প্রিসিলা নামেই চিনেন।  নিউইয়র্কে বসবাস করা এই তরুণী আলোচনায় আসে নিজের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে সমাজ সচেতনতা এবং অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও প্রকাশ করে। এরপর জনপ্রিয় ব্যক্তিদের সাথে ফেসবুক লাইভ করে প্রশংসা পেতে থাকেন। অনলাইনে তার এই কাজের ফাকেঁও বিভিন্ন সময় পাশে দাড়িঁয়েছেন অবহেলিত মানুষের, হয়েয়েছেন প্রশংসিত।
৪ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সাথে আমেরিকায় যান বাংলাদেশের কন্যা প্রিসিলা। সেখানেই পড়াশোনা করেন আর স্বপ্ন বাধঁতে থাকেন নিজের জন্য। স্বপ্ন দেখেন অভিনয় শিল্পী হয়ে কাজ করবেন নাটক সিনেমায়। ভর্তিও হয়েছিলে নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমিতে। স্কুলের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো থেকে নিয়েছিলেন নাচ-গানের প্রশিক্ষণ। স্কুলে পড়ার সময় পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। নিউইয়র্কের রাস্তায় দিয়ে স্কুলে যাতায়াতের পথে বিভিন্ন দৃশ্য তার জীবনের লক্ষ্য বদলে দেয়। সময়ের সাথে প্রিসিলার স্বপ্নের পরিবর্তন ঘটে, প্রিসিলা অনুভব করেন এসব জীবনে লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। অভিনয়, মডেলিং থেকে ফিরে আসেন সমাজসেবায়। এখন সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন প্রিসিলা । বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন সাংবাদিকতা ও আইন বিষয়ে।
ভালো কাজ করে এবার স্বীকৃতিও পেলেন প্রিসিলা। ২৯ মে রাতে নিউইয়র্কের কুইন্স সেন্টারে আমেরিকায় বিশেষ অবদানের জন্য ১২তম এনআরবি তারকা পুরস্কার পান তিনি। অনুষ্ঠানে অনলাইন ও সামাজিক কাজে অসামান্য অবদান রাখার জন্য স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয় প্রিসিলাকে। তার হাতে সম্মাননা তুলে দেন যুক্তরাষ্ট্রের কুইন্স কোর্টের ক্রিমিনাল জাষ্টিস কারেন গোপী। সঙ্গে ছিলেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, ডা. হাসান, আয়োজক শোটাইম মিউজিকের আলমগীর খান আলম প্রমুখ|
ভলো কাজের স্বীকৃতি পেয়ে  আনন্দিত প্রিসিলা। এই তরুণী তার ফেসবুকে লেখেছেন এ- অ্যাওয়ার্ড আপনাদের ভালোবাসার ফল, কৃতজ্ঞতা , শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আপনাদের সকলের প্রতি।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।