images 14

আজ থেকে ১০০ বছর পর আমার বাড়িতে, আমার ঘরে যারা বসবাস করবে, যারা আমার জায়গা জমি ভোগ করবে আমি তাদের চিনিনা। তারাও আমাকে চিনবেনা, যেমনটা আমরা আমাদের বাবার দাদা সম্পর্কে জানিনা। কারন তাদের জন্মের অনেক আগেই আমি কবরবাসি হয়ে যাব। আমার সন্তানরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন তারা হয়ত মনে পড়লে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলবে! কিন্তু তাদের মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা তাদের যতটুকু মিস করবে আমাকে ততটুকু মিস করবে না। হয়ত বাবার কবর জিয়ারত করে দোয়া করার সময় দাদার জন্যও একটু করবে।
কিন্তু তার পরের প্রজন্ম আর মনে রাখবেনা।

প্রায় ১৫০ বছর আগে মারা গেছেন আমার দাদার দাদা। যিনি আমার পূর্ব পুরুষদের জন্য ঘর বাড়ি, জায়গা জমি রেখে গেছেন। একই বাড়ি, একই জায়গা জমি আমরা এখন কেউ কেউ ভোগ করছি। কিন্তু উনার কবরটা কোথায় সেটা আমরা জানিনা। তবে সাত পাঁচ করে যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন সেটা কবরে নিয়ে যেতে পারেন নাই।

আর যাদের জন্য রেখে যাচ্ছেন তারাও আপনাকে মনে রাখবেনা এটা নিশ্চিত! অন্যের সম্পত্তি জবর দখল করে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন? সুদ, ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য করে সম্পদের পাহাড় গড়ে ভাবছেন আপনি জিতে গেছেন?

আমাদের সময় খুব কম! তাই সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ইত্যাদি করে কোন লাভ নেই। সময় থাকা কালীন ভালো হয়ে কবরের খোরাক সংগ্রহ করুন ঐটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আসুন নিজেকে সৎ মানুষ হিসেবে তৈরি করি পরকালের জন্য পূর্ণতা সঞ্চয় করি। ঐটাই আপনার আমার জন্য প্রকৃত সম্পদ।
আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন আমাদের সবাইকে ক্ষমা করে দাও।

– শাহরিয়ার আলম, এমপি’র ফেসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহীত

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।