shumary
দেশের ভাসমান জনগোষ্ঠীদের দিয়ে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে শুরু হয়েছে দেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২। সারাদেশে গৃহহীন অথবা যারা ছিন্নমূলভাবে রাস্তায় বা বিভিন্ন খোলা জায়গায় জীবনযাপন করে তাদের তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন বলেন, ভাসমান মানুষদের তথ্য আগে নেওয়া হবে। এবারের জনশুমারির মাধ্যমে দেশের জনগণের এবং গৃহের সংখ্যা বের করা হবে। এছাড়া কোন খানার সদস্য বিদেশে আছে কি না সেই তথ্যও নেওয়া হবে। শুমারি সফল করতে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করেছি। বিশেষ করে ডিজিটাল শুমারিতে পুলিশের সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন হবে। এজন্য আমরা পুলিশ মহাপরিদর্শকের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।
তিনি আরও বলেন, জনশুমারি দেশের সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এছাড়া জনশুমারির মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণসহ চাকরিতে প্রবেশে জেলা কোটাও এই শুমারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে। জনশুমারি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভয়েস এসএমএস দেওয়া হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শুমারি সফল করতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।

 

আরও পড়ুন : সহধর্মিনীদের সাথে নিয়ে ব্যাজ পরলেন পদোন্নতি পাওয়া ৬ পুলিশ কর্মকর্তা
এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ডিজিটালি ট্যাবের মাধ্যমে শুমারির তথ্য নেয়া হবে। সেই লক্ষ্যে সারাদেশের সব গণনাকারীরা ইতোমধ্যেই ট্যাবে লগইন করেছেন। এই ট্যাবের মাধ্যমে অন্য এলাকার তথ্য নেওয়া যাবে না। তবে যদি ট্যাব নষ্ট হয়ে যায় তাহলে রিজার্ভে থাকা ট্যাব সরবরাহ করা হবে। নষ্ট হয়ে যাওয়া ট্যাবের সব তথ্যও অন্য ট্যাবে ট্রান্সফার করা যাবে। মূলত ট্যাবের বেকআপ রয়েছে।
 জানানো হয়, এবারে জনশুমারিতে ৪৫টি প্রশ্ন থাকবে। এ প্রশ্নগুলোর তথ্য নিতে একজন গণনাকারীর সময় লাগবে ২২ থেকে ২৫ মিনিট। এসব ট্যাবে শুমারির তথ্য ছাড়া অন্যকোন কাজ করা যাবে না। ফলে আমাদের এসব ট্যাবে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম। জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শুমারি কর্মী হিসেবে সারাদেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী, ৬৪ হাজার সুপারভাইজার এবং বিবিএসের সাড়ে চার হাজারের অধিক কর্মচারী এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন। এছাড়া বিবিএস বহির্ভূত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রায় ৯০০ কর্মচারী জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
১৪ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ উপলক্ষে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।