সিলেট সুনামগঞ্জে বন্যার্ত এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানি বাহিত রোগ প্রতিরোধে বেসরকারি সংস্থা আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় স্থাপিত হয়েছে দেশের প্রথম ভাসমান পানি বিশুদ্ধকরণ ও বিনামূল্যে বিতরণ প্রকল্প।
গত রবিবার (০৩ জুলাই) বিকাল ৩ ঘটিকায় সুনামগঞ্জের ছাতকের নদী তীরবর্তী গ্রাম চরের বন, তাতিখোনায় এ মহতী প্রকল্পটি উদ্ধোধন করেন ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন।
![বানভাসিদের জন্য সিলেটে স্থাপিত হলো দেশের প্রথম পানি বিশুদ্ধকরণ ভাসমান প্রকল্প 2 received 1425034547964839](https://i0.wp.com/positivethinkbd.com/wp-content/uploads/2022/07/received_1425034547964839.jpeg?resize=640%2C427&ssl=1)
ইঞ্জিন চালিত নৌকার উপর পানির প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে নদী থেকে পানি উঠিয়ে ৫টা স্টেপে বিবিধ ফিল্টার ও মেমব্রেনের মাধ্যমে পানি পরিশোধিত হবে। প্রতি ঘন্টায় ২ হাজার লিটার পরিশোধন ক্ষমতা সম্পন্ন এ প্রকল্পে দৈনিক পরিশোধিত পানির পরিমাণ হবে ৪০ হাজার লিটার। প্রতি পরিবারে দৈনিক ৮ লিটার করে খাবার পানি দিলে দৈনিক ৫ হাজার পরিবার উপকৃত হবেন বলে জানায় উদ্যােক্তরা। বানভাসিরা পানি নেওয়ার জন্য ফাউন্ডেশন থেকে দেয়া হচ্ছে ১০ লিটার ক্যাপাসিটর গ্যালন।
উদ্যােক্তরা আরো জানান, আজ (০৪ জুলাই) থেকে হাওর এলাকায় ঘুরে ঘুরে তারা বিনামূল্যে পানি বিতরণ করবেন৷ আগামীকাল থেকে যে এলাকায় পানির কোয়ালিটি তুলনামূলক বেশী খারাপ সে এলাকায় ভাসমান পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্প পৌঁছে যাবে। এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট ৩টা এলাকায় বসানো হয়েছে ৫ হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পানির ট্যাংক। এ সমস্ত ট্যাংকে ভাসমান প্রকল্প থেকে পানি ভর্তি করে দেয়া হবে। অতঃপর এলাকার লোকজন নির্দিষ্ট ট্যাংক থেকে পানি নিয়ে যেতে পারবে। একই সাথে সরাসরি ভাসমান প্রকল্প থেকেও পানি বিতরণ অব্যাহত থাকবে।