সিলেট সুনামগঞ্জে বন্যার্ত এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানি বাহিত রোগ প্রতিরোধে বেসরকারি সংস্থা আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় স্থাপিত হয়েছে দেশের প্রথম ভাসমান পানি বিশুদ্ধকরণ ও বিনামূল্যে বিতরণ প্রকল্প।
গত রবিবার (০৩ জুলাই) বিকাল ৩ ঘটিকায় সুনামগঞ্জের ছাতকের নদী তীরবর্তী গ্রাম চরের বন, তাতিখোনায় এ মহতী প্রকল্পটি উদ্ধোধন করেন ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন।
প্রকল্প হতে পানি নিচ্ছেন বানভাসিরা
ইঞ্জিন চালিত নৌকার উপর পানির প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে নদী থেকে পানি উঠিয়ে ৫টা স্টেপে বিবিধ ফিল্টার ও মেমব্রেনের মাধ্যমে পানি পরিশোধিত হবে। প্রতি ঘন্টায় ২ হাজার লিটার পরিশোধন ক্ষমতা সম্পন্ন এ প্রকল্পে দৈনিক পরিশোধিত পানির পরিমাণ হবে ৪০ হাজার লিটার। প্রতি পরিবারে দৈনিক ৮ লিটার করে খাবার পানি দিলে দৈনিক ৫ হাজার পরিবার উপকৃত হবেন বলে জানায় উদ্যােক্তরা। বানভাসিরা পানি নেওয়ার জন্য ফাউন্ডেশন থেকে দেয়া হচ্ছে ১০ লিটার ক্যাপাসিটর গ্যালন।
উদ্যােক্তরা আরো জানান, আজ (০৪ জুলাই) থেকে হাওর এলাকায় ঘুরে ঘুরে তারা বিনামূল্যে পানি বিতরণ করবেন৷ আগামীকাল থেকে যে এলাকায় পানির কোয়ালিটি তুলনামূলক বেশী খারাপ সে এলাকায় ভাসমান পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্প পৌঁছে যাবে। এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট ৩টা এলাকায় বসানো হয়েছে ৫ হাজার লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পানির ট্যাংক। এ সমস্ত ট্যাংকে ভাসমান প্রকল্প থেকে পানি ভর্তি করে দেয়া হবে। অতঃপর এলাকার লোকজন নির্দিষ্ট ট্যাংক থেকে পানি নিয়ে যেতে পারবে। একই সাথে সরাসরি ভাসমান প্রকল্প থেকেও পানি বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

 

ইলেক্ট্রিসিটি অথবা জেনারেটর দিয়ে প্রকল্পের পানি বিশুদ্ধকরণ করা হবে। নৌকার লাইট, চার্জিংয়ের জন্য রয়েছে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা। সকল মেশিনারীজ, ইঞ্জিন চালিত নৌকাসহ ইতোমধ্যে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে এবং আগামী এক বছর ধরে চালানো প্রকল্প ব্যয় ১৫ লক্ষ টাকা মিলে মোট ৩৫ লক্ষ টাকার প্রকল্ল বলে জানিয়েছেন এই প্রকল্পের তত্বাবধাক ও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন।
বন্যায় সর্বহারা মানুষেরা ভাসমান এই প্রকল্প হতে বিনামূল্যে বিশুদ্ধ ও সুমিস্ট পানি নিতে পেরে দারুণ খুশী।
উল্লেখ্য আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে সাতক্ষীরায় বাংলাদেশের প্রথম ভাসমান মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি চট্টগ্রামের প্রতিদিন চলমান মেহমানখানা, মুসাফির খানা, কুড়িগ্রাম ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নামাবিধ মানবিক কর্মসূচির জন্য বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। তাদের সেচ্ছাসেবী কাজগুলো ইতোমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে গোটা দেশে।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।