mobail story
সামাজে প্রতিনিয়ত নানান ধরনের ঘটনা ঘটে। মানবিক ও মানবিকতার ভিরে থাকে মানুষের জানার আকঙ্ষক্ষা, থাকে বিস্তার গবেষণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তেমনি একটি আগ্রহের কেন্দ্রবৃন্দুতে এই ঘটনাটি। মোবাইল উপহার দেওয়ার এই ভাইরাল গল্প এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। প্রসংশা কুড়িয়েছেন নাগরিক মহলে।

ভাইরাল ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হবুহ তুলে ধরা হলো :

রাত প্রায় ১২টা গত ২দিন আগে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এ.টি.এম বুথে টাকা তুলতে গিয়েছিলাম।
বুথের বাইরে থেকে দেখলাম ১৬-১৭ বছর বয়সী সিকিউরিটি গার্ড ছেলেটা মোবাইলে কি যেন দেখছে আর হাসছে, ছেলেটার হাসিটা ছিল অনেক প্রানবন্ত। তবে যেই মোবাইলটার দিকে তাকিয়ে হাসছিল সেটি ছিল বাটন মোবাইল, এর মনিটর সর্বোচ্চ ১.৫ ইঞ্চি।
আমি জিজ্ঞেস করাতে বলল সে নাকি নাটক দেখছে।
আমি বললাম তুমি এতটুকুন মনিটরে নাটক কিভাবে দেখছো?
তোমার নাম কি?
অল্প দাম-দিয়ে একটা টাচ মোবাইল কিনলেই তো পারো? তুমি বেতন কতো টাকা পাও?
সে উত্তরে বলল, স্যার আমার নাম সুকান্ত ত্রিপুরা বাড়ি বান্দরবনের থানচিতে।
আমি বেতন পাই ১২,০০০ টাকা,
মাঝে মাঝে মোবাইলের দোকানে যাই ৫-৬ হাজার টাকার কমে তো টাচ মোবাইল পাওয়া যায়না। বাড়িতে বাবা,মা ছোট বোনের খরচ এবং নিজের খরচ এছাড়াও বাবার ঔষধ এবং ছোট বোনের লেখাপড়ার খরচ সবকিছু দেয়ার পরে মোবাইল কেনার টাকা তো থাকেনা।
দেখি সামনে কিনবো স্যার।
আমি টাকা উঠিয়ে ওর বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে করতে বাসার দিকে চলে আসলাম, আমার বারে বারে ওর সেই প্রানবন্ত হাসিটা চোখের সামনে ভাসছিল। আর মনে হচ্ছিল ও এতটুকুন বয়সে পরিবারের প্রতি যেই দায়িত্ব ওতো কখনোই মোবাইল কিনতে পারবেনা।
তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ওকে একটা টাচ মোবাইল কিনে দিব, তবে এতো রাতেতো সব দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। থাক আগামীকাল কিনে দিব, আবার মনে হলো আগামীকাল যদি আমার মনটা ঘুরে যায়! এলাকার এক বড় ভাইকে কল দিয়ে তার দোকান খুলে একটি মোবাইল কিনে ওকে গিফট করলাম।
ও অনেক অবাক হয়ে মোবাইলটা হাতে পেয়ে কিছুক্ষন চুপকরে ছিলো এর পরে হঠাৎ করে এসে আমার পা দুইটা জরিয়ে ধরে কেঁদে দিয়েছিল, আমিও আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।
অনেকেই হয়তো চিন্তা করছেন এই টাকা দিয়ে কোন পরিবারকে খাবার কিনে দেয়া যেত, বন্যার্তদের সহযোগিতা করা যেত কারো চিকিৎসার জন্য দেয়া যেত আরও ইত্যাদি ইত্যাদি।
ভাই তাদেরকে বলছি…………….. আল্লাহ যতটুকুন সামর্থ্য দিয়েছেন তা দিয়ে এরকমের কিছু কাজ করার চেষ্টা করি। মোবাইল টা কিনে দিয়েছি ওর প্রানবন্ত হাসিটা দেখে আমার মন চেয়েছে তাই।
কেন আপনি কি আপনার মন চাইলে অনেক সময় আপনার নিজের জন্যেই অপ্রয়োজনীয় কিছু কিনেন না?
আবার অনেকেই ভাবছেন ৫,০০০ টাকা দিয়ে একটা মোবাইল কিনে দিয়ে তা আবার পোস্ট দিয়ে শো-অপ করছি………….।
ভাই তাদের কে বলছি…………………… এই পোস্টটা করেছি অন্যদের কে অনুপ্রাণিত করার জন্যে। আমাদের চারপাশে এরকমের অনেক ছোট ছোট বিষয় আছে যেগুলো আমরা একে অপরের সাথে শেয়ার করতে পারি সোশ্যাল মিডিয়াতে।
এর পরেও যদি কারো মনে হয় আমি শো-অফ করছি, ভাই তাকে বলছি………….. আপনি নিজেও একটু শো-অফ করুন অন্যের উপকারে আসবে।

ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।