279319631 960287688015614 2836193482526477565 n

কেমন আছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা..

পৃথিবীতে কেউই সুখী নয়। সবারই কিছু না কিছু অপূর্ণতা আছে যেগুলো আমাদেরকে সুখী হতে দেয়না। কিন্তু যারা হাল ছাড়িনি, সন্ধান করতে করতে অবশেষে যেন পেয়েই যায় জীবনে সুখে থাকার একটি সহজ উপায় হচ্ছে যা আছে তা নিয়ে সুখে থাকা।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আবর্জনা বাণিজ্যে শত কোটি টাকা বানিজ্য হলেও খেয়াল নেই শহর পরিষ্কার করা মানুষগুলির যারা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পর্যাপ্ত বেতন ও সম্মান থেকেও বঞ্চিত বলে তারা মনে করেন। বিভিন্ন রকম দুর্নীতি ও অমানবিকতার কারণে সে সকল মানুষগুলির জীবনাচার হয়ে উঠছে দুর্বিষহ। অথচ তাদের ছাড়া এই শহরের পরিষ্কার রাখা কখনই সম্ভব নয়।

কেন তাদের এত অভিযোগ?

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বাসাবাড়ি আর প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিদিন আবর্জনা সংগ্রহ করে কয়েক হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখলেও কিন্তু তাদের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। জীবাণুযুক্ত নানা ধরনের আবর্জনা সংগ্রহ করেন কিন্তু নেই তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা।

পরিচ্ছন কর্মীরা বলেন, ময়লার কাজ করতে গেলে মানুষ হিসেবে খারাপ তো লাগে। কিন্তু কি করবো পেটে খিদে আছে খেতে তো হবে। অন্য কাজ করে পোশায় না, এ কাজ করে মোটামুটি সংসার চলে। তারা আরও বলেন জীবনটাকে চালানোর জন্য কত কষ্টইনা মানুষ করে। আমাদের কষ্ট শরীর সহে নিয়েছে। এখন আর কষ্ট লাগেনা। আমাদের সুধু একটাই চাওয়া সরকারের কাছে আমাদের বেতন ভাতা বাড়িয়ে দিন। আর আমাদের প্রাপ্ত সম্মানটা দিন।

এমন সব গল্প আরো পড়ুন …

অসুস্থ্য হলে বা ময়লার গাড়ি নষ্ট হলে তা সারানোর পুরো দায়িত্ব নিজেদের। আবর্জনা বাণিজ্যে ফুলেফেঁপে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কোনো দায় নেয় না।

পরিচ্ছন কর্মীরা আরও বলেন, মালিকের সঙ্গে আমাদের হিসাব হচ্ছে ১শ’ বাড়ি একজনের। জ্বর বা শরীর খারাপ থাকলেও মালিক এক টাকাও দেয় না।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শ্রম ও সময় দিয়ে শহরের প্রতিটি ঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য অপসারণে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যেমন আন্তরিক তেমনি সেবার নামে জিম্মিদশা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে আন্তরিক হবে এমন প্রত্যাশা সবার।

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।