কর্মকর্তারা নগরীর প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাড়ির আশপাশ ও বাড়ির ছাদে মশার উৎস, লার্ভা খুঁজে বের করা কঠিন; তাই এবার মশার লার্ভা খুঁজে বের করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন। এই ড্রোনে সেটআপ করা ক্যামরার মাধ্যমে নগরীর প্রতিটি বাড়ির ছাদে মশার উৎস খুঁজে বের করে বাড়ির কতৃপক্ষের ব্যবস্থা নিবে সিটি কর্পোরেশন।
কাল শনিবার থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এই ড্রোনের মাধ্যমে ১০দিন ব্যাপী চিরুনি অভিযান চালাবে। এমন ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) উত্তরা ৪ নং সেক্টরে ড্রোনের মাধ্যমে মশার উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, কিস্তা নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালিত অত্যাধুনিক ড্রোন মেশিনটি একাধারে এডিস ও কিউলেক্স মশা ক্যাপচার করতে পারে। এই মেশিনটি চতুর্দিকে ২৪৫ ফুট বা ৮০ মিটার ব্যাপী কার্যকরী। অ্যাপের মাধ্যমে তাৎক্ষনিকভাবে চিহ্নিত করতে পারবে কোন বিল্ডিংয়ের ছাদে কতটি মশা আছে! মেশিনটি অন/অফ করা যায়। এটি সম্পূর্ণরূপে শব্দ দূষণমুক্ত! পাইলট প্রকল্প হিসেবে উত্তরা ৪নং সেক্টরের কল্যাণ সমিতি মাঠ ও পার্কে ৬টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।