jubok

ঢাকায় কল্যাণপুরে নিজের বাইকে তেল নিতে এসে সঠিক পরিমানে তেল না পেয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেন এক যুবক। ‘সঠিক পরিমাণে তেল চাই’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে ওই পাম্পের সামনেই অবস্থান নিয়েছেন শেখ ইসতিয়াক আহমেদ নামের এক যুবক। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।

সোমবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে তিনি এই অবস্থান নেন।

ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, আমি এখানে আছি, দেখি কতক্ষণ পর্যন্ত থাকা যায়। আমি চলে যেতে চাই না। কারণ আমার বাইকে ৫০০ টাকায় যে পরিমাণ তেল দেওয়া হয়েছে, আমি তা সবাইকে দেখাতে চাই। আমার বাইক থেকে তেল নামাবে তারা। আমি এখন পর্যন্ত গাড়ি স্টার্ট দিইনি। আমি এটা প্রমাণ করতে চাই যে, আমি বিন্দুমাত্র মিথ্যা বলছি না।

তিনি জানান, শ্যামলীর আদাবরের বাসা থেকে সকাল ১০টার দিকে মিরপুরের বিআরটিএ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে ৪ নম্বর দক্ষিণ কল্যাণপুরের সোহরাব সার্ভিস স্টেশন থেকে ৫০০ টাকার অকটেন নিই। কিন্তু সামনে মিটার থাকলেও তেল সরবরাহকারী আকাশ তাকে পেছনে আসতে বলেন। এতে তিনি গাছের আড়ালে পড়লে তাকে তেল দেওয়া হয়। তিনি বুঝতে পারেন, তাকে তেল দিতে কারসাজি করা হয়েছে। ৫০০ টাকার ভাউচার পেলেও সঠিক পরিমাণে তেল পাননি।

বেসরকারি ব্যাংকের এই কর্মকর্তা জানান, তার মোটরসাইকেলের রিজার্ভেও তেল ছিল না। তাই তিনি ডিপো কর্তৃপক্ষকে মোটরসাইকেল থেকে তেল বের করে মাপার কথা বলেন। কিন্তু তারা তার দাবিকে পাত্তা দেয়নি। এরপর বেলা ১১টা থেকে ‘সঠিক পরিমাণে তেল চাই’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করছেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।

ইসতিয়াক বলেন, সকাল থেকে আমি এখানে অবস্থান নিয়েছি। এর মধ্যে কয়েকজন এসে আমাকে ইনডিরেক্টলি থ্রেট দিয়েছে। প্রশাসনের একজন লোক এসেছিলেন। তিনি কথা বলে চলে গেছেন। আমি বলেছি ভোক্তা অধিকারে লিখিত অভিযোগ দেব। একা থাকার কারণে সেটা পারছি না। আজকে যদি সম্ভব না হয়, কালকে অবশ্যই অভিযোগ দেব।

তিনি বলেন, তারা (সোহরাব সার্ভিস স্টেশনের কর্তারা) আমাকে বলেছে, তাদের ভুল হয়েছে। আমার সঙ্গে যারা তেল নিতে এসেছিল, তাদের অনেকেই জানিয়েছে এমনটা প্রতিদিনই হয়। আমি কিছু করলে তারা আমার সঙ্গে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন। আমি চাই, বাংলাদেশের আর কোনো মানুষ যাতে এভাবে প্রতারিত না হয়। বিষয়টি প্রতিদিন হচ্ছে। আমরা নাগরিকরা যাতে আরও সচেতন হই, আমরা যেন অধিকারগুলো আদায় করে নিতে পারি; সেজন্যই আমার এখানে দাঁড়ানো।

সোহরাব সার্ভিস স্টেশনের ম্যানেজারের দাবি, তারা তিন মাস থেকে এটি চালাচ্ছেন। ফলে ডিপোর পুরোনো কর্মচারীরা রয়ে গেছেন। তাদের একজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।