Sobuj Songket Thumbnail Template do not delete jpg

যমুনা, বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর একটি। এটি ব্রহ্মপুত্র নদের প্রধান শাখা। উৎপত্তিস্থল হতে এর মোট দৈর্ঘ্য ২৪০ কিলোমিটার। প্রবাহিত জল আয়তানিক পরিমাপের দিক থেকে “যমুনা” বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম নদী।  বৃহত্তর এ নদীর মাধ্যমে দেশের মোট ৮টি বিভাগীয় অঞ্চলের ২টি বিভাগ তথা রাজশাহী ও রংপুর বিভাগদয় ঢাকা অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়েছে। আর সমগ্র উত্তরবঙ্গকে ঢাকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে রয়েছে মাত্র একটি সড়ক ও রেল সেতু, যা বঙ্গবন্ধু সেতু নামে পরিচিত।

যমুনা নদীর উপর নির্মিত বলে এটি যমুনা সেতু হিসেবেও পরিচিত। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই সেতুটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। যা যমুনা নদীর পূর্ব তীরের ভূঞাপুর সীমানা থেকে নদীর পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জ সীমানার সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের পূর্ব এবং পশ্চিম অংশের মধ্যে একটি কৌশলগত সংযোগ প্রতিষ্ঠিত করে। যমুনা সেতু স্থাপনের জন্য প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৪৯ সালে। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রথম এ উদ্যোগ নেন। কিন্তু তখন তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে বাংলাদেশে সরকার ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এর কাজ শুরু করেন এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন। এর ফলে রাজধানী ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা তরাণ্বিত হয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে যুগান্তকরি সুচনা ঘটে। তাছাড়া অত্র অঞ্চলের জনগণের জন্য বহুবিধ সুবিধা বয়ে এনেছে, বিশেষত অভ্যন্তরীন পণ্য এবং যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা দ্রুত করেছে।

 

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা এলাকার একটি বড় সমস্যা সড়ক দূর্ঘটনা। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৪ মে পর্যন্ত ছোট-বড় মিলিয়ে ৭০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এই মাহসড়কে। এতে নারী-পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে ১০২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে পৌনে তিন শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে নলকা মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটারেই ঘটেছে ১৯টি দুর্ঘটনা। এতে নিহতের সংখ্যা ৪৩ এবং আহদের সংখ্যা ৯৮ জন। পরিসংখ্যান আশঙ্কাজনক হলেও তা রোধে পথচারী ও চালকদের কোন উদ্বেগ নেই। ফলে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দিতে হচ্ছে অথবা পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে অসংখ্য মানুষকে।

সড়ক দূর্ঘটনাকে রোধ করতে পথচারি ও চালকদের সচেতনতার বিকল্প নেই। তবে বর্তমানে মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত হচ্ছে। মহাসড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলমান থাকায় বর্তমানে একটু ভোগান্তি থাকলেও আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই মানুষ সড়ক দূর্ঘটনা ও যানজট থেকে মুক্তি পাবে।

“বঙ্গবন্ধু সেতু “ দেশের একটি বড় সম্পদ! সেই সাথে এটি একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। এ সেতুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কয়েকটি পর‌যটন স্থান। তাছাড়া, সন্ধায় যমুনার তীরে দাড়িয়ে নদীর নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করা এক অন্য অনুভুতি প্রকাশ করে।

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।