hqdefault 3

দিন দিন জনপ্রিয় হতে চলেছে ভাঙ্গারির ব্যবসা

প্রতিটি ঘরে এসেছে নতুন টিভি, পুরাতন সেই স্মৃতি সম্বলিত টিভিটা এখন আর ভাল লাগেনা। কারন সেটা এখন পুরাতন। একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। যেটা এখন আর কোন কাজে আসবে না। তাই বলেতো ফেলে দেয়া যায় না। এই ভাঙ্গা নষ্ট টিভি টা কেনার জন্য এক ধরনের ব্যবসায়ি রাস্তায় রাস্তায় ফেরি করে বেড়ায়। সমাজের তাদের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী বলা হয়।

শুধুকি পুরাতন টিভি? নাহ তারা কেনে সব রকমের পুরাতন ইলেকট্রনিকস পণ্য, বোতল, প্লাস্টিকের জিনিসপত্র, পুরাতন রড, টিন, লোহা, স্টিল ও তামার পুরাতন দ্রব্য এমনকি কাগজসহ প্রায় গৃহস্থালির পুরাতন জিনিস সংগ্রহ করাই এদের কাজ। এই সকল পুরাতন দ্রব্য ক্রয় করে এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে সরবরাহ করে খুব অল্প আয়ের ভেতর দিয়ে সুখি জীবন যাপন করেন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ভাঙ্গারী ব্যবসায়িরা। পুরো বাংলাদেশের প্রায় সকল গ্রামাঞ্চলে ও মফস্বল শহরগুলোতে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ি থাকলেও রাজধানী ঢাকা শহরে এর পরিমানটা অনেক বেশি।

পরিসংখ্যানে জানা যায়, জনবহুল এই রাজধানীতে ও এর আশেপাশের এলাকায় এ পেশার সাথে জড়িত আছে প্রায় ২০-২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই পেশার উপর নির্ভরশীল প্রায় ১ থেকে দেড় লক্ষ মানুষ। তবে এই ব্যবসার ব্যবসায়ীর সংখ্যা এখন পর্যন্ত অজানা।

রাজধানীর কেরানিগঞ্জ, চিটাগাং রোড ও এর আশেপাশের এলাকা, সায়দাবাদ, পুরান ঢাকার নিমতলী, চাঁনখাঁরপুল, বংশাল, নিউমার্কেট-আজিমপুর, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী, উত্তরা, বাড্ডা, মগবাজারসহ প্রায় সব এলাকাতেই দেখা পাওয়া যায় এই ব্যবসায়িদের। ছেলে মেয়ে উভয়েই জড়িত আছে এই পেশার সাথে। তবে শিশুর সংখ্যা সবচাইতে বেশী বলেই মনে হয়।

বিভিন্ন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়। তিনটি স্তরে ব্যবসায়িরা এই ব্যবসা করে থাকেন। প্রথমে কিছু লোক আছে যারা রাস্তায় রাস্তায় ফেরি করে,  বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মানুষের কাছে টাকার বিনিময়ে পুরাতন জিনিসপত্র কেনেন। তাই যারা ফেরিওয়ালা তাদের মানুষ কটকটিওয়ালা বা ভাঙ্গারীওয়ালা নামেই চেনেন।

এর পরের স্তরে এই ফেরিওয়ালারা তাদের সংগৃহীত বস্তু গুলো ঢাকার বিভিন্ন ভাঙ্গারী দোকানদারদের কাছে বিক্রি করে। এরপর শেষের স্তরে এই জিনিসগুলো বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রদান করা হয়।

তারা আরও জানান, ‘বাসা বাড়ি থেকে ফেরিওয়ালারা বোতল ৫০ টাকা কেজি, বিভিন্ন প্রকার ধাতু ২৫-৩০ টাকা কেজি, প্লস্টিক ৩৫-৪০ টাকা এবং  কাগজ ১০-১৫ টাকা দামে ক্রয় করে। ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে দোকানদাররা ক্রয় করে তা আবার কোম্পানির কাছে বিক্রি হয় ৩ থেকে ৭ টাকা লাভে। ’

এভাবেই দেশের ভাঙ্গারী ব্যবসা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এবং অসংখ্যা বেকার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান হচ্ছে। সাথে উদ্যোগতা তৈরি হচ্ছে ক্রমশ।

 

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।