probashi
কুয়েত প্রবাসী মহিউদ্দিন । স্ত্রী ও একমাত্র শিশু সন্তাকে রেখে মন খারাপের সময়কে সঙ্গী করে যাত্রা শুরু করছেন ৪, ২৮৭ কিঃমিঃ দূরত্বের দেশ কুয়েতে। প্রবাসের যাওয়ার প্রবেশ পথ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা হয় মহিউদ্দিনের সাথে। দেশ ছেড়ে যাওয়া মন খারাপের ব্যথা নিয়ে পজিটিভ থিংক এর ক্যামেরায় কথা বলেন এই প্রবাসী। তিনি বলেন, বাড়িতে এসেছিলাম ৫ মাস আগে, আজ চলে যাচ্ছি তবে কবে ফিরবো সেটা জানি না।
 মহিউদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুয়েতে থাকছেন তিনি ১৫বছর ধরে। সংসারের হাল ধরতে কৈশোর কালে পাড়ি জমান প্রবাসে। পরিবারের আছেন তিনিসহ দুই ভাই ও দুই বোন ।  বোন দুটোর বিয়ে হয়েছে। কৈশোরে পড়াশোনাকে বিসর্জন দেওয়া মহিউদ্দিন ছোট ভাইকে পাড়চ্ছেন মদিনা ইউনির্ভাসিটি।

পজিটিভ থিংকের কাছে জানান মহিউদ্দিন তার আক্ষেপের কথা, তিনি বলেন ‘আমরা রেমিটেন্স যোদ্ধা হলেও দেশের মানুষ শুধু প্রবাসী হিসেবেই দেখে।দেশের মানুষের বোঝা উচিৎ, প্রবাসীদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা থাকা উচিৎ ।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিএমইটি তথ্য অনুযায়ী ১৯৭৬ থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত মহিউদ্দিনের মতো কুয়েত আছেন ৫ লাখ ৫ হাজার ৪৭ জন বাংলাদেশী । এর মধ্যে ১৯৭৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গড়ে প্রতিবছর ১০ হাজার লোক কুয়েতে গিয়েছেন।
 ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে কুয়েতের পক্ষে অবস্থানের কারণে দেশটিতে বাংলাদেশের সুনাম বাড়ে। এরপর ১৯৯১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গড়ে ২৫ হাজার লোক দেশটিতে গেছেন। ২০০১ সালের পর তা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং প্রতিবছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক কুয়েতে যেতে থাকেন ।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।