স্কুল থেকে ধর্ম শিক্ষা বাদ দিয়ে শিক্ষাক্রমের রূপরেখা চূড়ান্ত অনুমোদন
ধর্মবিদ্বেষীদের কাছে ধর্ম শিক্ষার কোনো গুরুত্ব না থাকলেও ধর্মবিশ্বাসীরা নৈতিক অবক্ষয়ের এ যুগে অবশ্যই সন্তানকে ধর্ম শিক্ষা দিতে চায়, তারা কখনোই এ সুমহান শিক্ষা বাদ দেয়ার পক্ষে নয়। যে দেশের সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেয়ার দুঃসাহস কিভাবে হয়? যে দেশ পরিচালনার মূলনীতিতে রয়েছে গণতন্ত্র, সে দেশের অধিকাংশ মানুষের “স্কুলে ধর্ম শিক্ষা রাখা”র প্রতি সমর্থনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে কারা? শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কোনো ব্যক্তি কি ধর্মবিদ্বেষ অথবা ধর্মের ব্যাপারে অনিহা থেকে এ জাতীয় ঘৃণ্য উদ্যোগ নিয়েছেন? সুষ্ঠু তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসতে পারে এসব প্রশ্নের উত্তর।
সচেতন অভিভাবক হিসেবে আমরা চাই- আমাদের সন্তানরা স্কুলে ধর্ম শিক্ষার সুযোগ পাক। যেহেতু আল্লাহভীতি ছাড়া অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, ও অন্যান্য খারাপ কাজ থেকে বাঁচা যায় না, তাই তারা জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহকে ভয় করা শিখুক। তারা ইহলৌকিক জীবনে কল্যাণের পাশাপাশি পারলৌকিক জীবনেও কল্যাণ লাভের উপায় সম্পর্কে ভালো করে জানুক। যে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে আল্লাহর নাম নিয়ে, ইনশাআল্লাহ বলে, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বহুবার তাঁর নামাজ আদায় ও পবিত্র কুরআন শরীফ তেলাওয়াতের বিষয় উল্লেখ করেছেন, যে দেশের ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহারে ইসলাম বিরোধী কোনো আইন পাশ করা হবে না বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, সে দেশের স্কুল থেকে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেয়া মেনে নেয়া যায় না।
আওয়াজ তুলছেন মোঃ শহীদুল হক
সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়