IMG 20220718 141412
বিশ্বব্যাপি কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সমগ্র পৃথিবীর মানুষ যখন লকডাউনে হোম কোয়ারান্টাইনে বসে হতাশাগ্রস্ত হয়ে উঠছে তখনি মানুষের হতাশা কাটাতে নিত্য নতুন বিনোদনমূলক কনটেন্ট নির্মাণ করছেন একঝাঁক তরুণ-তরুণি। তারই মধ্যে বিনোদনধর্মী কনটেন্ট তৈরি করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছেন শামস আফরোজ চৌধুরী।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরু নিয়ে শামস বলেন, ‘আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করছিলাম। এর পাশাপাশি একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পার্টটাইম জব করতাম। আমার তখন খুব প্রেশার যাচ্ছিলো। এমবিএর ক্লাস কিন্তু এতো ইজি না ঐখানে এতো মিড, তারপর প্রতি সেমিস্টারে অ্যাসাইমেন্ট অনেক কিছু থাকে, তাছাড়া আমাকে তখন অফিস করতে হচ্ছে জবে। সব মিলিয়ে আমার মনে হচ্ছে, আমি অকারণে নিজেকে বেশি প্রেশার দিয়ে দিচ্ছি। এরমধ্যে ব্যাংক-এ জব প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম। সব মিলিয়ে একটা ডিপ্রেশনের মধ্যে পড়ে যাই। তখন হাতের স্মার্টফোন দিয়ে বিনোদনমূলক ভিডিয়ো বানানো শুরু করলাম।’
মানুষের মাঝে অনাবিল আনন্দ ছড়িয়ে দেয়া এই মানুষটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিভাবে নিত্য নতুন কনটেন্ট তৈরি করে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করে নিয়েছেন—তা জানান চ্যানেল আই পজেটিভ থিঙ্কের ক্যামরায়। তিনি বলেন, ‘আসলে আমি তো কনটেন্টগুলো বানাই একদম আমাদের আশপাশের যে স্টোরিগুলো আছে, বাস্তব থেকে স্টোরি নিয়ে আমি কনটেন্ট বানাই। ফলে অসংখ্য মানুষ আমার কনটেন্টগুলোর সাথে নিজেদের লাইফের সাথে রিলেট করতে পারতাছে। আমার মনে হচ্ছে, এটাই আমার সফলতা। অল্প সময়ে মানুষের জনপ্রিয়তা অর্জন করার এটাই প্রধান কারণ।’
শামসের কনটেন্ট-এ একটা বিশেষ চরিত্র হলো তার মা। এই চরিত্রটির মাধ্যমে মধ্যবিত্ত পরিবারের সংকট ও সহজাত প্রবৃত্তি উঠে আসে অনাবিল হাস্যরসের মধ্যদিয়ে। বিশেষ এই চরিত্র নিয়ে আলাপ করলেন শামস। তিনি বলেন, ‘আমার বাস্তবে মা আর ভিডিয়োতে শামসের আম্মাজানের মাধ্যে আকাশপাতাল অমিল।’
তবে শামসের প্রতিটি কনটেন্টে তার চিন্তাচেতনায় শুধু বিনোদনই না, বরং মানুষের সাথে মানুষের সাথে সম্প্রতি উঠে আসে। এ নিয়ে শামস বলেন, ‘আমি যখন কনটেন্ট বানাই তখন আমার চিন্তা করতে হয় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে অনেক বৃদ্ধ মানুষও আমার ভিডিয়ো দেখবে। তাই ভিডিয়োতে এডাল্ট কোনো দৃশ্য কিংবা শব্দ ইয়ুজ করি না।’
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।