FB IMG 1658168330365

 

সূর্যের মুখোমুখি হলে শুক্রকে কেমন দেখায়, তার একটি ছবি প্রকাশ করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সূর্যের সামনে শুক্র যেন ছোট্ট কালো বিন্দু!
জানা যায়, এই ঘটনা আগামী ১০০ বছরে আর দেখা যাবে না। সেই ২০১২ সালে সূর্যের মুখোমুখি হয়েছিল শুক্র। তার কক্ষপথ ট্রানজ়িট করার সময় ধরা পড়েছিল। এক দশক আগে ঘটে যাওয়া মহাকাশীয় এই ঘটনা পরবর্তী ১০ বছরে আর ঘটবে না। বিশ্বব্যাপী জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সেই কথাটাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যখন তাঁরা ব্যাকড্রপে সূর্য থাকা অবস্থায় শুক্রকে একটি কালো বিন্দুর মতো লক্ষ্য করেছিলেন।
সোলার ডাইনামিক অবজারভেটরি (এসডিও) বিরল মহাকাশীয় ঘটনাটি ক্যাপচার করেছিল। নাসা সেই সময়ের একটি ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে বিশাল সূর্যের সামনে শুক্র যেন ছোট্ট কালো একটা বিন্দু। ইনস্টাগ্রামে শুক্রের এই সৌর ট্রানজ়িটের বাইরের অংশের ছবিটি শেয়ার করে নাসা লিখছে, ‘তিনি বিরলদের মধ্যে একজন ছিলেন। এই কারণেই বিশ্ব তাকে এতটা ভালবাসত।’
ট্রানজিট হল এমনই একটি অবস্থা যখন কোনও বস্তু মহাকাশে অন্য বস্তুর সামনে অতিক্রম করে। সৌর ট্রানজিট হল, সূর্যের মুখ জুড়ে একটি গ্রহের উত্তরণ, যেমনটা পৃথিবীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, যেখানে একমাত্র পর্যবেক্ষণযোগ্য ট্রানজ়িট হল বুধ এবং শুক্র।
পরবর্তী ১০০ বছরে এই ঘটনা আর দেখা যাবে না
শুক্রের এই ঘটনাটি বিরলতম ছিল। কারণ, এই ঘটনা পরবর্তী ১০০ বছরের জন্য আর ঘটবে না। আমাদের প্রজন্মের বেশিরভাগ মানুষ এক দশক আগে পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশ থেকে যে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। কিন্তু ১০০ বছর পর এই প্রজন্ম আর থাকবে না। তাই, তাঁদের নজরেও এসেছে মহাকাশের অন্যতম বিরল এই ঘটনাটি। নাসা বলেছে, শুক্রের সৌর ট্রানজ়িট জোড়ায় হয় মাত্র ১০০ বছরের ব্যবধানে। ২০০৪ এবং ২০০৫ সালে শেষ জোড়া ট্রানজিট ঘটেছে, পরবর্তী ২০১৭ পর্যন্ত এই ঘটনা আর ঘটবে না।
নাসা একটি বিবৃতিতে দাবি করছে, ‘২০১২ সালে সৌর ট্রানজ়িটটি প্রায় ৭ ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল এবং বিশ্বব্যাপী দৃশ্যমানও ছিল। সমস্ত সাতটি মহাদেশের পর্যবেক্ষকরা ঘটনাটি চাক্ষুষ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই ধরনের ট্রানজ়িটগুলি আসলে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের বায়ুমণ্ডলীয় গঠন এবং গ্রহগুলির কক্ষপথ অধ্যয়ন করতে সহায়তা করে।’
যদিও শুক্র, সম্প্রতি পৃথিবীর উপরে আকাশে একটি বিরল গ্রহের সারিবদ্ধতা তৈরি করতে অন্য চারটি গ্রহের সঙ্গে সারিবদ্ধ হয়েছে। একটি মানব-নির্মিত মহাকাশযান সম্প্রতি বুধের ছবি ক্যাপচার করেছে, যা পৃষ্ঠের উপর একটি ভারী গর্তর মতো দেখিয়েছে। ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশ শুক্রকে অন্বেষণ করার জন্য মিশনের পরিকল্পনা করছে, যার সঙ্গে আমাদের নিজস্ব গ্রহের অপরিমেয় মিল থাকার কারণে পৃথিবীর যমজ বোনও বলা হয়।
সূত্র: নামা, দ্য রিডার্স
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।