rimon
কখনও চোর, ছিনতাইকারী, পকেটমার, মাদকাসক্ত, দিনমজুর, মুচি, পরিচ্ছন্নকর্মী কখনও ডাকপিয়ন ও ডাক্তারের চরিত্রে দেখে প্রথমে যে কেউ গোলকধাধায় পরে যাবে। জানতে ইচ্ছে করবে কে এই ব্যক্তি কি তার পেশা?। নাম সাঈদ রিমন, পেশায় বস্ত্র প্রকৌশলী হলেও নেশায় মানবিক মানুষ এবং সচেতনতার ফেরিওয়ালা। যেখানে দেখতে পান অসহায়ত্বেও ছাপ সেখানে রাখেন মানবিকতার চিহ্ন। সমাজের সচেতনতার বলাই গড়ে তুলতে বিভিন্ন চরিত্রে সাজিয়ে তুলেন নিজেকে। কেন নামলেন এই সামাজিক সমস্যা নিরসের পথে চ্যানেল আই পজিটিভ থিংকের ক্যামেরায় বলেছেন তার না বলা সব কথা ।

 

ছাত্র জীবন থেকে মানবিক কাজ ও সচেনতনতার কাজ শুরু করেন সাইদ রিমন। তিনি বলেন, আমার প্রতিবেশী এক বড় ভাই সড়ক দুঘর্টনায় মারা যায় আমার হাতের উপরেই। এরপর আমি চিন্তা করি, কিভাবে মানুষকে সড়ক দুর্ঘটনার নিয়ে সচেতন করা যায়!, সেসময় থেকে আমি স্থির চিত্রের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বার্তা  ফেসবুকে দিয়েছি, বিলবোর্ড, ব্যানার করে বরগুনা শহর ও ঢাকার বিভিন্ন স্টেশনে গিয়েছি। এভাবেই শুরু।
সামাজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে সামাজিক সমস্যা নিরসে কাজ করছেন এই যুবক। সামাজিক সচেতনতার এই কাজে পেয়েছেন ইতিবাচক সাড়া। নিজের সন্তানকে মানবিক মানুষ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এখন এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন তার। স্বপ্ন দেখেন বাবা ছেলে একসাথে দেশ ব্যাপী মানবিক কাজ করবেন, সচেনতন করবেন অসচেতন মানুষদের।
যারা নিজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে মানবিক কাজ ও সামাজিক সচেতনতার কাজ করতে চায় তাদের জন্য সাঈদ রিমন দিলেন কিছু পরার্মশ। দিলেন ভালো কাজ শুরু করার কিছু বিশেষ নিদের্শনা। তিনি বলেন, আমি আমার জায়গা থেকে শুরু করেছি, যে যার জায়গা থেকে মানবকল্যাণে কাজ শুরু করতে পারে। আমি চাই মানুষ দিনে, একটি হলেও ভালো কাজ করুক স্বস্ব জায়গা থেকে চেষ্টা করলে মানুষ পারবে। ভালো কাজের সংখ্যা অসংখ্য হয়ে যাবে।

 

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।