এমনই

বাবাই একমাত্র নিঃসার্থ ভালাবাসার মানুষ

বাবা মানেই আপঞ্জন, নির্ভরতার একমাত্র হাতিয়ার বাবাই। বাবা মানেই উত্তপ্ত রোদের মাঝে নির্মল সুশীতল ছায়া, অন্ধকারে পথের আলোর দিশা। বাবার বুক হচ্ছে সনাতের জন্য পরম নির্ভরতার জায়গা, যেখানে কোন ভয়ের কোন ছায়া নেই। বাবা সবসময় তার সন্তানকে অনেক আদর, একটু খানি শাসন করে মমতায় মাখা বুকে আগলে রাখে তার পরম ধনকে।

তাইতো বলা হয় বাবা মানেই সব রকমের আবদারের এক অফুরন্ত ভান্ডার, যে বাবা নিজে কিছু না কিনে বা কৃপনতা না করে নিজের সন্তানের জন্য অর্থ সঞ্চয় করে। শত শাসন সত্তেও এক নিবিড় ভালবাসায় বলে আমিত আছি ভয় কিসের। অনেক অভাবের সময়ও বাসায় ফেরেন বুকের মধ্য না জানা অনেক কষ্ট নিয়ে। কিন্তু মুখটা থাকে হাসিখুসি যেন সন্তানরা বুঝতে না পারে, এবং কষ্টের আচ যেন সন্তানদের না লাগে।

হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত যত বাবাই পৃথিবীতে এসেছেন সবাই তার সন্তানের সাফল্যের জন্য পৃথিবীর সব চাইতে সুখি মানুষটি হয়েছেন। তারাই সন্তানের জন্য ত্যাগ স্বীকারে তৃপ্ত হন।

তুলনাহীন একজন মানুষ বাবা

সন্তান ভুমিষ্ট হবার পর তার কানে যে শব্দগুলি প্রথম বের করেন তিনি আমাদের বাবা। এবং সন্তানের মুখে যখন শব্দের বুলি ফুটে সেই শব্দটিও বাবা। এ যেন সন্তানের আস্থার প্রতিক। বাবা শব্দের সমার্থক শব্দ- জার্মান ভাষায় ‘ফ্যাট্যা’ ড্যানিশ ভাষায় ‘ফার’ আফ্রিকান ভাষায় ‘ভাদের’ চিনা ভাষায় ‘বা’ কান্ডিয়ান ভাষায় ‘পাপা’ ক্রোশিয়ানরা বলে ‘ওটেক’ ব্রাজিলিয়ান ও পর্তুগিজ ভাষায় ‘পাই’ ইংরেজীতে ‘ফাদার’ ইন্দোনিশিয়ান ভাষায় ‘বাপা’ কিংবা ‘আইয়্যাহ’ ইত্যাদি। সত্যি বলতে পৃথিবীতে যে যেভাবেই ডাকুক বাবা বাবাই। বাবার কোন তুলনা হয়না। বাবা মানেই এক টুকরো আকাশ।

 বাবা বন্ধুর মত ও পথ নির্দেশক

শিশু ভুমিষ্ট হবার পর থেকে যে শব্দ গুলি উচ্চারণ করে তার মধ্যে অন্নতম হলো বাবা। যেন সন্তানের কাছে আস্থার প্রতিক, সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচয়। সন্তান যখন বাবা শব্দটি উচ্চারন করেন তখন বাবার মন খুশিতে ভরে উঠে। বাবা একদম ছোট্ট একটি শব্দ হলেও এর ব্যাপকতা অনেক বিশাল। ছোট বেলা থেকে সন্তান তার বাবার হাত ধরেই হাটতে শেখে, চলতে শেখে। জীবনে কোন ব্যাক্তির সর্বপ্রথম বন্ধু হল তার বাবা। যদি আমরা আমাদের বাবাকে বন্ধুর মত না বানাতে পারি সেতাই আমাদের সব চাইতে বড় অসফলতা। তাই আমাদের উচিৎ বাবাকে জীবনের সবচাইতে বেস্ট ফ্রেন্ড এর মত ভাবা। কারণ তিনি বন্ধু হলেই আমাদের সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারবেন এই বাবাই। ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আলোর পথ পদর্শন করেন।

দায়িত্বশীলতার শৃঙ্খলে বাধা বাবা

জন্মের পর থেকে নিঃসার্থ স্নেহ ভালবাসার আর দায়িত্বশীলতার শৃঙ্খলে বেঁধে সন্তানের জীবনকে  নিরাপদ ও সুন্দর রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে যান আমাদের বাবারা। সন্তানকে শিক্ষিত সনির্ভর ও ভাল মানুষ হিসেবে তৈরি করাই বাবার প্রধান দায়িত্ব। বাবার আদর আহ্লাদে ধিরে ধিরে বেড়ে উঠেন। তারপর বাবার হাত ধরেই পৃথিবীর দর্শনীয় স্থানগুলি ভ্রমন করে পৃথিবীকে চেনে।  বাবার হাতেই অনেকের পড়ালিখার হাতে খড়ি হয়, পৃথিবীটাকে প্রথম বাবার ছোখেই দেখতে শেখে।

আসুন আমরা বাবা মাকে শ্রদ্ধা করি। তাদের আমাদের কাছে কিছুই চাওয়ার নেই। তাদের জীবনের পুরোটা আমাদের দিয়েছেন নিঃসার্থভাবে। আমরা কেন আমাদের অল্প কিছু অংশ তাদের জন্য উৎসর্গ করতে? কেন পারবনা তাদের জীবনে একটু ভরষার জায়গা হতে? আমরা যদি আমাদের সময়ের অল্প কিছু তাদের দেই। একটু আদর তাদের জন্য বরাদ্দ রাখি তাহলেই তারা জীবনের শেষ মুহুর্তটা একটি প্রশান্তির নিঃশ্বাসে ভরে উঠবে।

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।