ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। আজকের দিনটি কাল হয়ে যায় অতীত। তাই প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস। আজ ১৯ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের আজকের এই দিনে কি কি ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যু বরণ করেছিলেন।

এক নজরে ইতিহাসের পাতায় ১৯ জুলাই ঘটনাবলি:

১২৯৬- জালালুদ্দিন খিলজিকে হত্যা করে আলাউদ্দিন খিলজি দিল্লির সিংহাসন দখল করেন।

১৭৬৩- বক্সারের যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কাছে মীর কাসিমের পরাজয়।

১৯২৫- এডলফ হিটলারের ‘মাইন ক্যাম্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।

১৯৭২- বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মাল্টা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র।

আজকে যাদের জন্ম হয়:

১৮৬৩- বাঙালি কবি, গীতিকার, ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়।

১৮৯৯- বাঙালি সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়। অবিভক্ত ভারতবর্ষের বিহার রাজ্যের মণিহারীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাদের আদি নিবাস অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার শিয়াখালা গ্রাম। য় উত্তীর্ণ হন। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আই.এস.সি, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন হাজারীবাগ সেন্ট কলম্বাস কলেজ থেকে। কলকাতা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন তবে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে থেকে এম.বি, ডিগ্রী লাভ করেন। প্যাথলজিস্ট হিসেবে ৪০ বছর কাজ করেছেন। কৈশোর থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে নিজের নাম লুকাতে তিনি বনফুল ছদ্মনামের আশ্রয় নেন। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে সাহেবগঞ্জ স্কুলে পড়ার সময় মালঞ্চ পত্রিকায় একটি কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে তার সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে।

১৯০০- বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ, রবীন্দ্র সংগীত প্রশিক্ষক, রবীন্দ্র সংগীতের স্বরলিপিকার এবং বিশ্বভারতীর রসায়ন বিজ্ঞানের শিক্ষক শৈলজারঞ্জন মজুমদার।

১৯১৩- তেভাগা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী অমল সেন।

১৯৩৬- বাংলাদেশি লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, এবং জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন।

১৯৫০- কিংবদন্তী অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সাবেক সাংসদ সারাহ বেগম কবরী।

আজকে যাদের মৃত্যু হয়:

১৯৭১- গুয়েতেমালীয় কবি, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী রোমেলিয়া অ্যালারকন ফোলগার।

২০০০- ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের নারী বিপ্লবী ও সাহিত্যিক কমলা দাশগুপ্ত।

২০০৮- বাংলাদেশি কবি, কলামিস্ট ও লেখক সমুদ্র গুপ্ত।

২০১২- বাংলাদেশি লেখক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগঞ্জে তার মাতামহের বাড়িতে জন্ম তার। তিনি বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম। তাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবেও তিনি সমাদৃত। তার রচিত প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে, ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। মধ্যাহ্ন, জোছনা ও জননীর গল্প, মাতাল হাওয়া, লীলাবতী, কবি, বাদশাহ নামদার ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস শাখায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি প্রদত্ত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।