images 14 21
‘খ্যাতির জন্য নয়, সারা জীবন আনন্দের সঙ্গে কাজ করতে চাই। মানুষকে ভালোবেসে বাঁচতে চাই। আলোকিত মানুষ গড়ার স্বপ্ন দেখি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই স্বপ্ন দেখে যাবো।’
সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে চ্যানেল আই কার্যালয়ে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর বিনোদন পাক্ষিক আনন্দ আলো আয়োজিত ‘গোলন্দাজ আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০২১’ গ্রহণকালে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সংগঠক আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এসব কথা বলেন।
চ্যানেল আই কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গফরগাঁওয়ের সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল, আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, শিশু সাহিত্যিক আমীরুল ইসলাম, অভিনেতা, উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। অনুষ্ঠানে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা, ক্রেস্ট, উত্তরীয়সহ অন্যান্য উপহার তুলে দেয়া হয়।
FB IMG 16587213962794576
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ছাদে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, আমি বয়স চাই না, যৌবন চাই না, যে ক’দিন বাঁচি সজিবতার সঙ্গেই বাঁচতে চাই। কাজ করে বাঁচতে চাই। মানুষ একা বাঁচতে পারে না, অন্য প্রাণীর একেক জনের একেক অস্ত্র থাকে, কারো ধারালো দাঁত, কারো লেজে কাটা, কারো নখর আছে। কিন্তু মানুষের কেবল দুটো খোলা হাত আছে। মানুষ মানুষের দিকে এগিয়ে এসেছে এবং পরস্পরকে ভালোবাসে বলেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণীতে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর গফরগাঁওয়ের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের নামে আনন্দ আলো প্রবর্তিত এই পুরস্কার প্রদানের কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারনে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান স্থগিত করা হযেছিল। এক বছর পর ২৫ জুলাই আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮৩তম জন্মদিনে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৩৯ সালের ২৫শে জুলাই গ্রীষ্মের এক পড়ন্ত বিকালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন আজকের আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। শিক্ষক বাবা আযীম উদ্দিন আহমদের কর্ম সূত্রে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে দেশের নানা জায়গায়। ১৯৫৫ সালে পাবনা জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি হন প্রফুল্লচন্দ্র কলেজে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে স্নাতকে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। পরবর্তীতে একই বিভাগ থেকে ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন।
পিতার শিক্ষক হিসেবে অসামান্য সাফল্য ও জনপ্রিয়তা শৈশবেই তাকে শিক্ষকতা পেশার প্রতি আকৃষ্ট করে। বাবার দেখাদেখি সিদ্ধান্ত নিযেছিলেন, জীবনে কিছু করলেই শিক্ষকতাই করবেন। তাই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করার পরপরই মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে খন্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।