joy 1

জাতীয়: ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের আজ বুধবার ৫২ তম জন্মদিন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র।

১৯৭১ সালের এই দিনে (২৭ জুলাই) জন্মগ্রহণ করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হলে নানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নাম রাখেন।

জনাব সজীব ওয়াজেদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্র্রপতি ও হাজার বছরের শেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের “ভিশন ২০২১” ইশতেহার প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।

জনাব সজীব ওয়াজেদ যুক্তরাষ্ট্র্রের আর্লিংটনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ওপর ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট থেকে লোকপ্রশাসনের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তিনি ২০০৭ সালে ডেভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক বিশ্বের ২৫০ জন তরুণ বিশ্ব নেতৃত্বের মধ্যে একজন হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জনাব সজীব ওয়াজেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রংপুর জেলা শাখা এর প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন।

প্রাথমিক সদস্যপদ লাভের পর পরই জনাব সজীব ওয়াজেদ দেশে একটি শক্তিশালী আইটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা, ই-গভর্ন্যান্স প্রবর্তন ও বৃহৎ পরিসরে আইটি শিক্ষা চালুর মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি বিশদ ধারণাপত্র ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান কারিগর হিসেবে কাজ করছেন।

দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা-এই দুইয়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কেন্দ্রিয় যুবলীগ। বিকেল ৪টায় ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চের সামনে বৃক্ষরোপণ, বাদ আছর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের নিচতলায় দোয়া মাহফিল এবং দুস্থ ও শিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া মসজিদে দোয়া এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা সভা ও বৃক্ষরোপণ করা হবে।

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।