green line

সারাদেশ: যাত্রী কমায় ঢাকা–বরিশাল নৌপথে চলাচলকারী দ্রুতগামী জলযান এমভি গ্রিন লাইনের যাত্রীসেবা আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে গ্রিন লাইনের বরিশাল কাউন্টারের হিসাবরক্ষক আল আমিন বলেন, গ্রিন লাইনের সার্ভিসটি আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে এটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে—এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর নৌপথে যাত্রী কমে গেছে। মূলত এই কারণেই আপাতত সার্ভিসটি স্থগিত করা হয়েছে। অবস্থা বুঝে আগামী মাসে পুনরায় সার্ভিসটি চালু হতে পারে।

এর আগে সোমবার রাতে গ্রিন লাইনের ফেসবুক পেজে এ–সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। সার্ভিসটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে ওই ঘোষণায় কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ঘোষণায় বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২৬ জুলাই থেকে গ্রিন লাইনের ঢাকা-বরিশাল ভায়া হিজলা নৌপথে চলাচলকারী জাহাজের সার্ভিস বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা–কালীগঞ্জ–ইলিশা রুটের এমভি গ্রিন লাইন-২ নিয়মিত চলাচল করবে।

গ্রিন লাইন পরিবহন ও ওয়াটার ওয়েজের জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুস ছাত্তার জানিয়েছেন, ঈদের পরে ১০০ যাত্রীও হচ্ছিল না। আসলে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রী কমে গেছে। অনেকেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভাড়া কমাতে। তবে ক্যাটামেরান সার্ভিস পরিচালনায় ট্রিপ প্রতি খরচ বেশি। তাছাড়া আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি ভাড়া কমালেও যাত্রী আশানুরুপ বাড়বে না। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী ডিজেলের দাম বেড়েছে। ফলে ট্রিপ খরচ উত্তোলন নিয়েই শঙ্কা রয়েছে। ভাড়া কমিয়ে লঞ্চ সার্ভিস দেওয়া সম্ভব। ক্যাটামেরান সার্ভিস অব্যাহত রাখা অসম্ভব।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ক্যাটামেরান সার্ভিসের দুটি ওয়াটারওয়েজ জাহাজ নিয়ে ঢাকা-হিজলা-বরিশাল রুটে দিবা সার্ভিস শুরু করে গ্রিন লাইন পরিবহন। ওই সময়ে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। সার্ভিসটি চালুর পর তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেয় গ্রিন লাইন।

 

error: কপি না করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।