ঘরে-বাইরে সবখানে পানি। সিলেটের ১৩ উপজেলার মধ্যে ভারতের সীমান্তবর্তী ৫ উপজেলার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি।
১৪ জুন থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৪০ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। পানির নিচে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক। জীবন বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে চলাচল করছে যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনাও। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় থাকার জায়গা নেই, খাবার নেই। ভবনের ছাদে রাখা হয়েছে গবাদি পশু। আর নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন বানভাসিরা। নৌকায় করে আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন অনেকেই। অসুস্থ-বৃদ্ধ মানুষদের তুলে আনা হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
এ অবস্থায় উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটও বন্যার্তদের উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তায় কাজ করছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে ও বন্যায় আটকে পরা মানুষদের উদ্ধার করছে।